দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ নভেম্বর থেকে আবারও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণ শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন। তবে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ অনুযায়ী মানতে হবে ১২টি পরিবেশসংরক্ষণ নির্দেশনা।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ করা বা বারবিকিউ পার্টি নিষিদ্ধ।
২. কেয়াবনে প্রবেশ বা কেয়া ফল, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা যাবে না।
৩. সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ মোটরচালিত যান চলবে না।
৪. পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (বোতল, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ ইত্যাদি) বহন নিষেধ।
৫. পর্যটকদের অনলাইনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েবসাইট থেকে কিউআর কোডযুক্ত টিকিট নিতে হবে।
৬. বিআইডব্লিউটিএ অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান চলবে না।
নভেম্বরে শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করা যাবে, রাতযাপন নয়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাতযাপনের অনুমতি থাকবে। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার ৯ মাস দ্বীপে পর্যটন বন্ধ থাকবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, পর্যটক নিয়ন্ত্রণের কারণে গত ৯ মাসে দ্বীপের প্রবাল, শামুক-ঝিনুক, লাল কাঁকড়া ও কাছিমের সংখ্যা বেড়েছে। সৈকতে নতুন করে প্যারাবন গজাচ্ছে।
তবে দ্বীপের হোটেল, দোকান ও রেস্টুরেন্ট মালিকরা ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কারণ নভেম্বর মাসে রাতযাপনের সুযোগ না থাকায় ব্যবসা কমে যাবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পানীয় জলের ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বনায়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের একাধিক প্রকল্প চলছে, যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হলে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা সহজ হবে। সেন্ট মার্টিন খুলছে সীমিতভাবে, পরিবেশ রক্ষা হবে প্রধান লক্ষ্য।