ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেন চাষিরা। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। এতে জমজমাট হয়ে উঠেছে মিষ্টি কুমড়ার হাট।
সরেজমিনে মধুখালী সদরে কুমড়ার হাটে গেলে ব্যবসায়ী ও চাষিরা জানান, উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলায়ও পাঠানো হচ্ছে।
প্রতি হেক্টর জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর কুমড়া বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাত করার কাজে ব্যস্ত। তবে গতবারের তুলনায় ফলন এ বছর অনেক কম।
মধুখালী বাজারে আসা বামুন্দী গ্রামের চাষি মো. জিয়াউর বলেন, ‘চার পাখি (এক পাখি= ২৮ শতাংশ) জমিতে কুমড়ার চাষ করেছি। গাছ মারা যাওয়ায় ফলন অনেক কম হয়েছে। প্রতিপিস কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি।’
এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এলাকার মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে মিষ্টি কুমড়া নিমশা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, মানিকগঞ্জ, যশোর, খুলনা, ঢাকা, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় চলে যায়।
মধুখালী বাজারের কুমড়া আরতের ব্যবসায়ী আলম শেখ বলেন, ‘এ বছর ফলন কম হওয়ায় কুমড়ার আমদানি কিছুটা কম। আমরা প্রতিকেজি কাঁচা কুমড়া ১০ থেকে ১২ টাকা এবং পাকা কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া কুমড়াভেদে প্রতিটি চুকতা বা লট ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত কেনাবেচা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব ইলাহী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে কুমড়া চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
উপজেলায় এ বছর দুই হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ১০ হেক্টর। মিষ্টি কুমড়ার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার মেট্রিক টন।’