রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যার বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন এই যুদ্ধ নিয়ে তার অবস্থান আরও স্পষ্ট করল। ওই প্রস্তাবে রাশিয়া পক্ষে ভোট দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর বিবিসি
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথমে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে। তবে এদিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এর বিরোধিতা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে।
এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব খসড়া প্রস্তাবে উভয় দেশ সমর্থন জানায়। যেখানে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। তবে এই প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করা হয়নি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এই প্রস্তাবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা ছিল না। ওয়াশিংটন ও মস্কো এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ইউরোপীয় প্রস্তাবটি ৯৩ ভোটে অনুমোদন করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এতে বিরত না থেকে সরাসরি এর বিপক্ষে ভোট দেয়।
নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব পাস হলেও এতে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে মার্কিন দুই মিত্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ এই প্রস্তাব এমন এক সময় জাতিসংঘে উত্থাপন করা হলো যখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করছেন এবং তিনি এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মত পার্থক্য দূর করার চেষ্টা করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রান্সআটলান্টিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক এক প্রকার তলানিতে নিয়ে গেছেন। অন্যদিকে তিনি মস্কোকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, তাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য শোক প্রস্তাব ও এ যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইউরোপের কূটনীতিকরা তাদের প্রস্তাবে এ যুদ্ধের জন্য রাশিয়ারকে অভিযুক্ত করা এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানানো হয়।