শীত এসে গেছে। আর শীতের শুরুতেই কিন্তু আমরা অনেকেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ি। তবে শীত তখনই উপভোগ্য হয় যখন সুস্থ থাকি। এ কারণে সুস্থ থাকতে আমাদের যা করতে হবে-
গরম কাপড়
অনেকে মনে করেন, গরম কাপড় অর্থাৎ সোয়েটার, শাল জড়ালে মনে হয় দেখতে হাস্যকর কিংবা বেমানান লাগে। এটি কিন্তু একদম ভুল ধারণা।
পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম কাপড় পরুন। শরীরে সোয়েটার ও শাল, গলায় মাফলার, হাতে ও পায়ে মোজা পরুন।
খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখুন
শীতকালে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার খান। তৈলাক্ত ও ভারী খাবার যতদূর সম্ভব পরিহার করুন।
ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট
শীতকালে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। ফল, শাকসবজি, আস্ত শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন। ভিটামিন সি, ডি ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
জল খাওয়া
ঠান্ডা সত্ত্বেও হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন। উষ্ণ ভেষজ চা, স্যুপ বা ঝোলও উপকারী।
পর্যাপ্ত ঘুম
স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুমের মান উন্নত করতে শোবার আগে স্ক্রিন টাইম কমান এবং ঘর আরামদায়ক রাখুন।
সর্দি বা কাশি হলে
• জ্বর হলে দু’একদিন বিশ্রাম নিন
• আক্রান্ত ব্যক্তির গ্লাস, প্লেট, তোয়ালে, বালিশ, চিরুনি অবশ্যই আলাদা করে দিন।
• যদি নাক বন্ধ থাকে, গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে শ্বাস নিন
• গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন
• গোসলের পর খুব ভালো করে শরীর-মাথা মুছে নিন
• হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন
• সর্দি হলে নাক ছিলে যেতে পারে, অলিভ অয়েল বা পেট্রোলিয়ম জেলি লাগিয়ে নিন
• জ্বর হলে সাধারণত খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না, না খেলে আরও অসুস্থ হয়ে যাবেন
• এ সময় তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে
• ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (লেবু, কমলা, আমলকী, পেয়ারা) খান
• ধুলাবালি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে
• হাত সব সময় পরিষ্কার রাখুন।