জানুয়ারির শুরুতেই শীতে জবুথবু সারা দেশ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ঢাকায় তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৩-তে নামতেই শীতে কাঁপছে রাজধানী। ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কনকনে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষের জনজীবন। দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা হঠাৎ ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। ফলে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তাই দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে প্রতিবছর এ জেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা পড়ে। গত তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না এ জেলায়। লালমনিরহাট-সহ আশে-পাশের এলাকায় তাপমাত্রা এখন ১০ থেকে ১২ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তীব্র শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে এই অঞ্চলের হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে নগরী। পুরো রাজধানীতে জেঁকে বসেছে শীত।
শীত থেকে বাঁচতে সকালে ভারী শীতবস্ত্র পরে কর্মস্থল ও অফিসমুখী হয়েছেন নগরের মানুষজন। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বেড়েছে শীত বস্ত্রের দোকান গুলোতে। নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের কাপড় দোকান থেকে স্বল্প মুল্যে শীতের কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতে বেশী কষ্ট পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই জানুয়ারিতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৫টি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। কোনো কোনো শৈত্যপ্রবাহের ফলে দেশের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।