রমজানের আগেই ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, শুল্ক কমানোয় ও সিন্ডিকেট ভাঙায় এবার খেজুর আমদানি বেড়েছে। ফলে এবারের রমজানে খেজুরের দাম গতবারের চেয়ে ২০ শতাংশ কম হবে। ভোক্তাদের আশা, বাজারে নজরদারি থাকলে কম দামে খেজুর পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা যায়, সব আড়তেই বিভিন্ন মানের খেজুরে ভরপুর। শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় আমদানিও বেড়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেজুর আমদানি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১৯ হাজার ৬৮৮ টন। অবশ্য ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, রোজায় খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন। বন্দর দিয়ে এখন প্রতিদিন খেজুর খালাস হচ্ছে। তাতে রোজা শুরুর আগে খেজুরের আমদানি চাহিদার চেয়ে বেশি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা আরো বলছেন, আওয়ামী লীগের সময় খেজুর আমদানি নিয়ন্ত্রণ করত নজরুল ইসলামের নাসা ও হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপ। এবার সেই সিন্ডিকেট ভেঙেছে। গতবার খেজুর এসেছিলো সাড়ে ২০ হাজার টন। এবার আমদানি হয়েছে সাড়ে ৪৪ হাজার টন।
ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের দাম গতবছরের চেয়ে বেশি হলেও সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে এবার খেজুর আমদানিও হয়েছে বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার খেজুরে দাম কম থাকবে।
বাজারে ১৫ থেকে ২০ রকমের খেজুর পাওয়া যায়। আবার একই খেজুরের ভিন্ন ভিন্ন দাম রয়েছে। গত বছরের দামের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, সাধারণ মান থেকে উন্নত মানের খেজুরের দাম কেজিতে কমেছে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা।
এদিকে, রমজান উপলক্ষে খোলা ট্রাকে খেজুর বিক্রি করছে টিসিবি। বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা দরে।