২০১৪ সালে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে আলোচনায় জায়গা করে নেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির আড়ালে চলে যান। ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে নিজের নামও পরিবর্তন করেন, নাম রাখেন আমাতুল্লাহ। তারপর মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলাম নামক এক মাদরাসা শিক্ষককে বিয়ে করেন হ্যাপী।
এবার স্বামী তালহার বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ আনলেন হ্যাপী। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ করেছেন সাবেক এই মডেল-অভিনেত্রী। এ পর্যন্ত তার স্বামী তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান হ্যাপীর আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস।
তিনি বলেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপি মডেলিং ও বিনোদন জগত ছেড়ে দ্বীনের পথে আসে। গত ৭ বছর আগে নড়াইলের সাবেক এমপি প্রয়াত মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহা ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু সময় পর থেকে জানতে পারেন- তালহা ইসলামের বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি রয়েছে।
নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেন তিনি। এখন পর্যন্ত তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন।
মুফতি তালহা যৌতুকের জন্য হ্যাপীকে মারধর করেছেন দাবি করে আইনজীবী বলেন, তালহার চারিত্রিক সমস্যার পাশাপাশি প্রায়ই হ্যাপী ও তার সন্তানের ওপর নির্যাতন করেন। সামান্য কথার বিপরীত হলেও হ্যাপীর গায়ে হাত তুলতেন তালহা। আবার যৌতুকের জন্য মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করেছেন তাকে।
নাজনীন আক্তার হ্যাপী বলেন, তার আসল চরিত্র প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আমি তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য তালাকের কথা অসংখ্যবার বলেছি। যতবারই আমি তালাকের কথা বলতাম ততবারই তিনি আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তালাকের জন্য শরীয়তসম্মত অধিকার নেই আমার কাছে। তাকে খোলা তালাকের কথা বললে অনেক মোটা অঙ্ক দাবি করেন। যেমন, এক কোটি টাকা বা সন্তানকে আজীবনের জন্য দিয়ে দিতে হবে। সন্তানকে কোনোদিন দেখতে পারব না, এ ধরনের শর্ত দেয়া হয় আমাকে।
এছাড়াও সাবেক এই মডেল বলেন, গত পরশু তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর রাতেই লোকজন নিয়ে আমার বাসায় এসে ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়ীক মালামাল নিয়ে চলে যায় তালহা। মামলা তুলে নেয়ার জন্যও নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি এতদিন মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় সব প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।