বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১১.৪০ মিনিটে হামজাকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেন। বাংলাদেশ সময় রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটর উদ্দেশ্যে রওনা হন হামজা। সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল থেকেই উৎসবের আবহ। এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অন্তত আটজন কর্মকর্তা। জাতীয় দলের নতুন স্পনসর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এসেছেন ফুল নিয়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ফুটবলপ্রেমীর সংখ্যা। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন তারকা হামজা চৌধুরীকে বরণ।
বাংলাদেশের হামজাকে এক নজর দেখতে সকাল ৯টার পর থেকেই বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন ফুটবল প্রেমীরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। কেউ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার খালি হাতে শুধু এক নজর দেখার জন্য। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এজন্য গণমাধ্যম কর্মীরাও বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।
সাধারণত বিদেশ থেকে কিছু জয় করে এলে বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকেরা ভিড় জমান। হামজা বাংলাদেশের হয়ে এখনো কিছু জয় করেননি। তবে জয় করবেন এমন আশা নিয়ে সমর্থকেরা বুক বেঁধেছেন। লন্ডন থেকে হামজা দেশে আসাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রচণ্ড ভিড় । অনেকে এসেছেন ঢাকা থেকে। পেশাদার সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি অনেক ইউটিউবারও হাজির হয়েছেন।
এক ফাঁকে ভিভিআইপি প্রবেশ গেটের বাইরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হামজা চৌধুরীর বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী । তিনি বলেন, ‘মাতৃভূমির প্রতি অসামান্য টানের কারণে সে আসছে। শেকড় যাতে ভুল না যায় সে কারণেই তাকে আমি একে এখানে নিয়ে এসেছি। আমি তাকে জোর করিনি। সে নিজের ইচ্ছাতে এসেছে।’ দেশবাসী যে প্রত্যাশা করছে হামজাকে নিয়ে হামজা তা পূরণ করতে পারবেন বলে তার বাবার আশা।
সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকায় যাবেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের।