কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে চিহ্নিত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে চলছে ইরি-বোরো ধান কাটার উৎসব। পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার রায়গঞ্জ উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছে।
এবারে সলঙ্গায় উফসি জাত জিরা সাইল,কাটারি ভোগ,মিনিকেট,সুবলতা,উচ্চ ফলনশীল ব্রি- ২৮,৭৪,ব্রী-৮১,ব্রি-৮৮,৮৯,ব্রি-১০০,১০২,১০৪,১০৫ সহ হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে থানার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ইরি-বোরো ধান কাটা,মাড়াই,ঘরে তোলা ও খড় শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষি শ্রমিকেরা। প্রতিটি বাড়িতে কৃষাণীদের বেড়েছে চরম ব্যস্ততা।
থানার ঘুড়কা ইউপির শ্রীরামের পাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম সরকার জানান, তিনি এবারে ১৫-২০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল-হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেশি হয়েছে। তবে বিঘাপ্রতি ২৫-২৬ মন ফলন হয়েছে। এলাকায় কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম,মজুরি বেশি বলে জানান তিনি।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রউফ জানান,এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ জমির ধান ঘরে তুলেছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর রোগ বালাই কম হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে।ধানের দাম ভাল থাকলে কৃষকেরা লাভবান হবে।