নিজস্ব প্রতিনিধি : শীত কাঁপছে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। কনকনে ঠান্ডা আর হাঁড় কাঁপানো শীতে জুবুথুবু জনজীবন। তীব্র শীতে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যেক্ষনাগার থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বার) সকাল ৬ টা ও সকাল ৯ টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন।
সকালে তীব্র শীত সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া। কাবু করে দিচ্ছে মানুষ ও প্রানীকুল। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই আরো বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে।
গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া খাওয়া মানুষ। ভোরে ট্রাক থেকে বালি নামাচ্ছে শ্রমিক সুরত আলী। কথা হলো তার সাথে। হাতে আর বেলচা ধরতে পারছিনা। ঠান্ডায় হাত অবশ হয়ে আসছে- বললেন সুরত। কথা হলো ইটভাটা শ্রমিক কালু'র সাথে। কাঁপতে কাঁপতে কাঁদা হাতে নিয়ে সকালে নতুন ইট কাটছে। তীব্র শীতে আর পেরে দিচ্ছে না।
ভ্যান চালক ভাদু মিয়াও শীতে কাবু। কনকনে ঠান্ডায় হ্যান্ডেল ধরা কষ্টকর তার জন্য। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্রের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, এখন থেকে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা এ রকমই বিরাজ থাকতে পারে । উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে এ অঞ্চলে। কর্কট ক্রান্তি রেখা বরাবর চুয়াডাঙ্গার অবস্থান হওয়ায় শীত মওসুমে প্রায় দিনই দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, এ জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ১৫ লাখ টাকার শীত বস্ত্র কেনার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়ে কথা হয়েছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র শিগগিরই আসবে।