অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী চৌধুরী রফিকুল (সি. আর) আবরার।
বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গভবনে উপদেষ্টা হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন।
বেলা ১১টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তী সময় কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়।
জানা গেছে, অধ্যাপক আবরার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, শপথ নেয়ার পর মি. আবরার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানান শফিকুল আলম।
“প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন যে উনি একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে পারছেন না। যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এজন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদে,” যুক্ত করেন প্রেস সচিব।
দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার, শ্রমিক অভিবাসন ও শরণার্থী বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে আসছিলেন ১৯৫২ সালের অগাস্টে ফরিদপুরে জন্ম নেয়া মি. আবরার। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় যথাক্রমে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেছেন। পরে ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক তিনি। অনেক দিন ধরেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়েও কাজ করে আসছিলেন তিনি।
সি আর আবরার উর্দু ভাষাভাষী তরুণদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ক্যাম্প সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়া অভিবাসন ও অধিকার বিষয়ে লেখালেখি করেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এর তিনদিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।