সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নিত্যপণ্য ও ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে প্রতি বছরই রমজানে দাম বাড়ে। রমজান মাসে কতিপয় ব্যবসায়ী বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাড়তি মুনাফার জন্য। এ মাস অতিরিক্ত মুনাফা লাভের মাস মনে করে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো হয় নিত্যপণ্যের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কাঁচা বাজারের দোকানগুলোতে নেই পণ্যের মূল্য তালিকা। ভোক্তা অধিকার বা প্রশাসনের মনিটরিং তেমন পদক্ষেপ না থাকায় ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
সম্প্রতি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের আগের দিন পর্যন্ত সলঙ্গায় লেবুর কেজি ছিল ৭০-৮০ টাকা। রমজানের প্রথম দিন থেকে সেই ইফতারির অন্যতম শরবত লেবুর দাম এক লাফে প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি শুরু হয়েছে।
একইভাবে কাঁচা মরিচ ৪০ হতে ৬০ টাকা, আলু ২০ হতে ২৫ টাকা, আদা ৯০ হতে ১২০ টাকা, টমেটো ১৫ হতে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ হতে ৬০ টাকা, শসা ২০ হতে ৪০ টাকা, করল্লা ৭০ হতে ১০০ টাকা, সিম ১৫ হতে ৩০ টাকা, গাজর ২০ হতে ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ হতে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ হতে ৩৫ টাকা, শুধু লেবু, আলু, বেগুন, পেঁয়াজই নয়, দাম বেড়েছে আঙ্গুর, তরমুজ, বেদানা, আপেল, কমলা, পেয়ারা, শসা, খিরা ও কলার।
অস্বাভাবিক দামে দূর্ভোগে পড়েছেন রোজাদাররা। দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে চাকরিজীবী ও বিত্তশালীদের সমস্যা না হলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুল হান্নান বলেন, রমজান মাসের আগেও যে পণ্যগুলোর দাম কম ছিলো, সেগুলোর দামও ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্যের দাম আরো বেড়েছে। স্থানীয় বাজারে এভাবে দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, রমজান মাসে মানুষ সেহেরিতে একটু ভালো খাবার খেয়ে রোজা রাখতে চান। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকাতেও নিত্যপণ্যের এমন দাম হলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বেকায়দায় পড়তে হয়। স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম এতটা হওয়া দুঃখজনক।
নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে শিগগিরই বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।