শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ৩০ জন বরখাস্ত

ছবি সংগৃহিত।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সিন্ডিকেট সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ দাবি করে। 

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা আরও দাবি করেন, জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা এবং আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

তারা আরও জানায়, প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে কাজ করেছে এবং বরখাস্তের ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে। ছাত্রদলের মতে, আন্দোলন দমনে সক্রিয় অনেক ব্যক্তি, যারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারা এখনও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছেন।

ইতিপূর্বে এসব অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির পর্যবেক্ষণে উঠে আসে যে, অভিযুক্তরা দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তায় আন্দোলন দমন করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।

এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে আরো কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল কমিটি।

জানা যায়, তদন্তে ১০০ জন শিক্ষক, ৩০ জন কর্মকর্তা এবং আন্দোলনে সম্পৃক্ত শতাধিক শিক্ষার্থীর তথ্য এবং ২০ জন শিক্ষক, ১৫ জন কর্মকর্তা ও ৩৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরকৃত তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ চূড়ান্ত ভাবে যাচাই করা হয়। 

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, প্রশাসনকে দ্রুত এসব 'আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, সুবিধাভোগী এবং উচ্ছিষ্টভোগীদের' বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা সতর্ক করে বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আরও কঠোর আন্দোলনের মুখে পড়তে হবে।

বহিষ্কারকৃত শিক্ষকরা হলেন অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ, ড. দেবু কুমার ভট্টাচার্য্য, অলি আহাদ সেতু, অধ্যাপক ড. শরমিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আয়েশা আক্তার, রুহুল আমিন,  চৈতী দে পুজা, ড. ছাবেরা ইয়াছমীন, মো. ওমর আলী মল্লিক, অধ্যাপক ড. শাহ জহির রায়হান ও মো. জিয়াউর রহমান ভূঁঞা।

এছাড়াও, তদন্ত কমিটির সুপারিশে নীল দলের সভাপতি ও সেক্রেটারি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি সহ বেশ কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির কোনো শাস্তি না হওয়াকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেন ছাত্রদল নেতারা। তাদের মতে, এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের রক্ষা করেছেন।  

শেকৃবি ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলনের শেষে প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ তদন্ত চালানো এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণভোট নিয়ে কোনো আইন নেই: সিইসি

দিল্লিতে খলিলুর রহমান-অজিত দোভাল বৈঠক

কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার ক্ষতিকর!

শিশুশিল্পী থেকে রণবীরের নায়িকা, কে এই সারা অর্জুন!

এটা তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা টেস্ট ম্যাচগুলোর একটি হবে

লিবিয়ায় ৩ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার পর সাগরে নিক্ষেপ

ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৮৮

প্রচারণায় তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে এনসিপির আপত্তি

সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস আজ

১০

পল্লবীতে যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা: পাতা সোহেল ও সুজন গ্রেপ্তার

১১

শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

১২