বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি তীব্র খাদ্যঘাটতির মুখে পড়েছেন এবং এরই মধ্যে অন্তত ২৯ শিশুর তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজেদ আবু রামাদান এ কথা জানান। আল জাজিরা ও বিবিসি ওই তথ্য দিয়েছে।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ত্রাণ যাচ্ছে না গাজায়। এতে অনাহারে কাটাতে থাকে উপত্যকার বিশাল জনপদ। বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া যায় অনাহারে মানুষ মারা যাওয়া শুরু হয়েছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনুসে অবস্থিত নাসের হাসপাতাল—এখনকার একমাত্র কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র—জানিয়েছে, তারা অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিশুদের শরীরে পুষ্টিহীনতার গুরুতর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এবং অনেকেই জরুরি চিকিৎসা ছাড়া বাঁচবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, অবরুদ্ধ গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ এখন দেখা দিচ্ছে—ক্ষুধা, অপুষ্টি, এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাব একযোগে এই ভয়াবহ চিত্র তৈরি করেছে। খবর আলজাজিরার।
গাজার মানবিক সহায়তা ব্যাহত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, অবিলম্বে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত না করলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে, এবং এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছানোর দাবি আরও তীব্রতর হচ্ছে।