দুই বছর আগে সিলেটের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান তরুণ গায়ক তাসরিফ খান। বন্যাদুর্গতদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেই লাইভ, আর এরপর দুই মাস ধরে সিলেটবাসীর পাশে ছিলেন এই গায়ক।
এবার সিলেটে যাওয়ার সময় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন এই গায়ক। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একটা মহা অভিশাপের নাম। গত দুই দিনে যাওয়া-আসার পথে তিনটা জঘন্য অ্যাকসিডেন্ট দেখলাম। এটা জানতেন? জানবেন না, জানার কথা না, কারণ এখানে কোনো রাজা, মন্ত্রী কিংবা সেনাপতির কিছু হয়নি, হয়েছে প্রজাদের!’
তাসরিফের এই ফেসবুক পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন সম্প্রতি সিলেটের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো নয়। বর্তমানে অবহেলায় রয়ে গেছে পর্যটনের জন্য পরিচিত এই এলাকা। তাসরিফ লিখেছেন, ‘রাজা-মন্ত্রী আসে আর রাজা-মন্ত্রী যায়, সুযোগে যে যার আখের গোছায়। কাড়াকাড়ি চলে, কে যাবে ক্ষমতায় প্রজাদের জান গেলে কী আসে যায়?’
সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকারের দায়িত্বশীলদের টনক নড়ে না—এমনটাই মনে করেন এই গায়ক। তিনি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে সড়কে প্রতিদিন শত শত অ্যাকসিডেন্টের পরও কখনো দেখলাম না দায়িত্বরত কোনো নির্লজ্জ মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে। কিংবা সংশ্লিষ্ট কারও কোনো শাস্তি হতে। গদিতে বসে দোষ চাপানো হয় ওই গরিব ড্রাইভারকে, কিংবা ২০ হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে হয় লাশের ক্ষতিপূরণ।’
এ ঘটনাগুলোর জন্য সমাজের মানুষকেই দায়ী করলেন এই গায়ক। তার মতে, ‘আমাদের ভাগ্যে এগুলোই থাকা উচিত, কারণ আমরা ৫০০-১০০০ টাকার বিনিময়ে ভোট দিয়ে আমাদের ভাগ্যের চাবি বিক্রি করে দিই কিছু নির্লজ্জ ক্ষমতালোভীর হাতে।’
তরুণ গায়ক তাসরিফের গানের দল ‘কুঁড়েঘর’। ২০১৬ সাল থেকে তাদের গানগুলো আলোচিত হয়ে উঠতে থাকে। এই ব্যান্ডের ‘মধ্যবিত্ত’ গানটি রাতারাতি ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। অল্প সময়ে গানটি সেই সময় আড়াই লাখ বার শেয়ার হয়। গানটিতে মধ্যবিত্তদের মনের কথা ফুটে ওঠে। এ ছাড়া ‘ময়নারে’, ‘সাত রাজার ধন’, ‘তাই তো আইলাম সাগরে’, ‘ব্যাচেলর’সহ অনেক গান দিয়ে তাসরিফের গানের দলটি শ্রোতাদের কাছে পরিচিত।