দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আকস্মিকভাবেই দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানকার পার্লামেন্ট এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন ইউন। এনিয়ে দেশটিতে একপ্রকার রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
সামরিক আইন জারি করার জন্য এবার ক্ষমা চেয়েছেন ইউন। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এমন কিছু আর করবেন না। গতকাল শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইউন বলেছেন, আমি অনেক দুঃখিত। যারা মর্মাহত হয়েছেন তাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।
ইউন বলেন, সামরিক আইন জারি করার জন্য আইনগত এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়ানোর কোনো চেষ্টা তিনি করবেন না। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই হতাশা থেকে নেওয়া।’
গত বুধবার ভোরে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রত্যাহারের পর এটিই ছিল ইউনের প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। আদেশ জারি করার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেন প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট সামরিক ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পর আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
আজ জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইউন বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং যেসব মানুষ এতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন, তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ এ সময় তিনি নত হয়ে জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আমার দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করছি, যাতে তারা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে আমার মেয়াদ সম্পর্কিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
এদিকে পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর ইউন এবং সামরিক আইন আদেশে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যদের অধিকার আদায়ে বাধা দেওয়ার সম্ভাব্য অভিযোগ আনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা দোষী সাব্যস্ত হলে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।