মধ্য ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচ পদত্যাগ করেছেন। রেলস্টেশনের ছাদ ধসে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর সারাদেশব্যাপী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
মিলোস বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি আর জটিল না করতে এবং সমাজে উত্তেজনা আর না বাড়ানোর জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত নভেম্বরে নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, স্টেশন তৈরির সময় দুর্নীতি না করলে এত মানুষকে প্রাণ হারাতে হতো না।
দেশটির শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা প্রতিদিন সড়ক অবরোধ এবং কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবরোধ চালিয়ে গেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারে বড় ধরনের রদবদল আনার ঘোষণা দেন।
গত সপ্তাহে সার্বিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ ধর্মঘটে অংশ নেয়। সেই সময়ে বেলগ্রেডে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেয়।
উল্লেখ্য, নভেম্বরে আন্দোলনে নামার পর থেকেই হামলার শিকার হচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আন্দোলন দমে না গিয়ে বরং বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তা অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে।
মিলোস ভুসেভিচ ক্ষমতাসীন সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতা। তিনি এক বছরেরও কম সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নোভি সাদের মেয়র ছিলেন।