জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ খুঁজতে গেলে জনমনে সন্দেহের উদ্বেগ বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া গণতন্ত্রের অগ্রগতির সুযোগ নেই। গণতন্ত্রের শুরু, অগ্রগতির জন্য একমাত্র নির্বাচন ব্যতিত আর কোনো পথও নেই। অন্য কোনো পথ খুঁজতে গেলে জনমনে সন্দেহের উদ্বেগ হবে। জনগণ হতাশ হবে, গণতন্ত্র আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে। কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মনে করে তারা সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের কী পরিবর্তন হবে, কী সংস্কার হবে, সেটা ভুল হবে।
আমীর খসরু বলেন, দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে তারা। সুতরাং এই দেশের জনগনই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কিভাবে পরিচালিত হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সংসদ গঠন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে জুলাই-আগস্টের সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার রক্তের প্রতি বেইমানি করা হবে বলে মনে করেন আমীর খসরু। সেই সঙ্গে যেসব সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত তৈরি হবে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাকি সব সংস্কারের বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। সেজন্য নির্বাচনই একমাত্র পথ। কোনো গোষ্ঠী যদি মনে করে তাদের সিদ্ধান্তেই সংস্কার হবে, তাহলে সেটি ভুল হবে।
বিনিউজ/এম আর