প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিলে একাধিক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে। ফলে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী দল-মত নির্বিশেষে এক হয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।
দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ছেলেদের ১০টি আবাসিক হল ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। এতে আটকে পড়েন প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। পূর্বের ন্যায় কোটা বহালের দাবিতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। অন্যদিকে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পোষ্য কোটা মানেই অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া। পোষ্য কোটা নিয়ে গতকাল প্রশাসন সংস্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখান করে অবিলম্বে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
সর্বশেষ, প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাউকে কথা বলতে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে চলমান বিক্ষোভের পর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন একটি সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। একইসঙ্গে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
বিনিউজ/এম আর