সাধারণ খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়াতে অনেকেই আজকাল নানা প্রকার বীজ খান। এর মধ্যে অন্যতম তিসির বীজ বা ফ্ল্যাক্স সিড। একটা সময় পর্যন্ত অনেক খাবারই রান্না করা হত তিসির তেলে। তবে এর বীজও যে উপকারী এটা এখন অনেকেই জানেন। বিশেষ যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তারা প্রতিদিনের ডায়েটে তিসির বীজ বা ফ্ল্যাক্স সিড রাখতে পারেন। চলুন জেনে নেই তিসির বীজের উপকারিতা।
১. উচ্চ ফাইবার উপাদান: প্রতি টেবিল চামচ তিসির বীজে প্রায় ২.৮ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা মলকে নরম করে এবং অন্ত্রের গতি বাড়ায়।
২. মিউসিলেজ গঠন: তিসির বীজে থাকা মিউসিলেজ পানি শোষণ করে জেল তৈরি করে, যা মলকে মসৃণ করে অন্ত্রের মাধ্যমে সহজে চলাচল নিশ্চিত করে।
৩. প্রিবায়োটিক গুণ: এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
প্রস্তাবিত মাত্রা
প্রতিদিন ১০–১৫ গ্রাম (১–২ টেবিল চামচ) ফ্ল্যাক্স সিড ১৫০ মিলি পানি বা দুধের সঙ্গে গ্রহণ করুন।
গ্রহণের পদ্ধতি
গুঁড়ো ফ্ল্যাক্স সিড গরম পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।
রাতভর ১ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সিড পানিতে ভিজিয়ে সকালে সেই পানি পান করুন।
ওটস, স্মুদি বা দইয়ে মিশিয়ে নিন।
পানি পান: ফাইবারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে দিনে কমপক্ষে ২–২.৫ লিটার পানি পান করুন।
গ্রহণের পদ্ধতি
গুঁড়ো ফ্ল্যাক্স সিড গরম পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।
রাতভর ১ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সিড পানিতে ভিজিয়ে সকালে সেই পানি পান করুন।
ওটস, স্মুদি বা দইয়ে মিশিয়ে নিন।
পানি পান: ফাইবারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে দিনে কমপক্ষে ২–২.৫ লিটার পানি পান করুন।
সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
* অতিরিক্ত ফ্ল্যাক্স সিড গ্রহণে পেট ফাঁপা, গ্যাস, বা ডায়রিয়া হতে পারে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে মল শক্ত হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে।
* ফ্ল্যাক্স সিড কিছু ঔষধের শোষণে বাধা দিতে পারে; তাই ঔষধ গ্রহণের ১–২ ঘণ্টা আগে বা পরে ফ্ল্যাক্স সিড গ্রহণ করুন।
তিসির বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপায়। তবে, এটি গ্রহণের সময় সঠিক মাত্রা ও পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন এবং কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।