শীত শেষ। এরইমধ্যে হালকা গরম পড়া শুরু করেছে। সময়ের সঙ্গে তাপও বেড়ে চলছে। এ অবস্থায় আবার শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। গরমের সময় স্বাভাবিকভাবেই ডায়রিয়াসহ ছোট ছোট বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ে। এ সময় রোজা হওয়ায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা হওয়ার বেশ ঝুঁকি থাকে।
রোজায় দিনভর না খেয়ে থাকা হয়। এ কারণে সন্ধ্যায় ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা জরুরি। ইফতারে প্রথমেই সবার পছন্দের তালিকায় থাকে শরবত। আর এই শরবত কোনটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে সবার। ইফতারে কোন কোন শরবতগুলো খাওয়া যেতে পারে,এবার রকমারি শরবত নিয়ে জেনে নেয়া যাক।
ফলসা শরবত: দক্ষিণ এশিয়ার একটি অপ্রচলিত ফল এটি। ফলসার শরবত বেশ সুস্বাদু হয়। যা ওজন কমাতে কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। উপকারী এই ফলের শরবত তৈরি করতে প্রয়োজন চারটি উপাদান। যথা- লেবুর রস, তাজা পুদিনা পাতা, চিনি ও ফলসা। চারটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।
বাদামের শরবত: বাদাম হচ্ছে পুষ্টির শক্তিশালী উৎস। অল্পতেই বাদাম দিয়ে শরবত তৈরি করা হয়। এ জন্য প্রয়োজন দুধ, কনডেন্সড মিল্ক, এলাচি গুঁড়ো, কয়েক টুকরো বরফ ও পরিমাণমত বাদাম। বরফ ছাড়া বাকিগুলো কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। হয়ে গেল বাদামের মজাদার শরবত।
পেয়ার মহব্বত শরবত: পানীয়টি ভারতের দিল্লির হলেও এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয়। রুহ আফজা যদি আপনার পছন্দের হয়, তাহলে এটি আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন দুধ, রুহ আফজা ও ছোট ছোট তরমুজের কিউব। তিনটি উপাদান যখন মেশানো হয়, তখন দুর্দান্ত একটি পানীয় হয়ে উঠে।
লেবু-পুদিনা-চিয়ার মিষ্টি শরবত: এই পানীয়টি খুবই সুস্বাদু। একইসঙ্গে আপনাকে শক্তি সরবরাহ করে। এ শরবত তৈরির জন্য এক চা চামচ চিয়া বীজ নিয়ে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ছেঁকে নিন। এবার দুই চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু ও তিন চারটি পুদিনা দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এখন এতে চিয়া বীজের পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেল লেবু-পুদিনা-চিয়ার মিষ্টি শরবত।
বেলের শরবত: দিনভর পরিশ্রমের পর বা ইফতারে বেলের শরবত আপনাকে স্বস্তি ও শক্তি সরবরাহ করবে। বেলের শরবত আপনার পেট ফাঁপা কমানোর পাশাপাশি পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমায়। প্রতি ২৫০ মিলি শরবতে ১৪০-১৫০ ক্যালোরি থাকে। এটি আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করবে। বেলের শরবত তৈরি করার জন্য প্রথমে পরিমাণমত বেল নিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে চটকে নিয়ে এর সব বীজ ফেলে দিন। এবার পরিমাণমত কিছু চিনি যোগ করুন। চাইলে পুদিনা পাতা ও মধুও যোগ করতে পারেন। তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন বেলের শরবত।