অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস-ইসরায়েল, গাজায় উল্লাস

অবশেষে ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েল। এ ব্যাপারে চুক্তি করেছে হামাস এবং ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি জেলবন্দিদের বিনিময়ে ইজরায়েলি যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারেও তারা সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কাতারের রাজধানী দোহায় দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। হামাসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

রয়টার্সকে এক কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তিতে ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পর্যায়ের রূপরেখা রয়েছে এবং এতে গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক অন্যদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের সবাই নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ। দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের আলোচনা প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে শুরু হবে এবং এতে অবশিষ্ট সকল ইসরায়েলির মুক্তি, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তৃতীয় ধাপে বাকি সব মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা এবং মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজার প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধি দল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও ইসরায়েলিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের অনুমোদন দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এই খবরে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা গেছে মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ এবং অন্যান্য এলাকার কিছু বাসিন্দাদের। তারা দলবদ্ধভাবে জড়ো হচ্ছেন, আলিঙ্গন করছেন এবং তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলছেন। দীর্ঘ সময় পর এমন দৃশ্য দেখা গেলো ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। 

এদিকে একটি অমীমাংসিত প্রশ্ন হলো, যুদ্ধ বন্ধের পর গাজা কে চালাবে? ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডিওন সার বলেছেন, তিনি ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে রাতারাতি দেশে উড়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও চুক্তির ওপর সরকারের ভোটাভুটিতে অংশ নিতে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী এলাকায় ঢুকে ১২০০ সেনা ও অসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং ২৫০ জনেরও বেশি বিদেশি ও ইসরায়েলিকে অপহরণ করে। এরপর থেকেই ইসরায়েলি সেনারা গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, শহরটিতে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল যুদ্ধে ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং উপকূলীয় এলাকাটি ধ্বংসস্তূপের একটি পতিত ভূমিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ তাবু এবং অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে একটু বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

(বিনিউজ২৪/১৬জানুয়ারি/এমআই)


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

'বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই বিএনপির লক্ষ্য'

'লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল প্রমাণ করে যে বিএনপি এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ সংগঠন'

‘প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই সচিবালয়ে সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত’

নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল

চারদিনের সফরে জাপান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

কারামুক্ত হলেন এটিএম আজহার

কুরবানি ঘিরে চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির সম্ভাবনা

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী গ্রেপ্তার

মিরপুরে দিনে-দুপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

এটিএম আজহারের রায় নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল

১০

খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

১১

জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় আজ

১২