তিন দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেইজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বেইজিং সফর নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এছাড়া আগামী মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের ব্যাপারেও বেশ আগ্রহী বেইজিং। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বিনিয়োগ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্বাভাবিক পথে এগিয়ে নেয়ার বার্তা দিচ্ছে চীন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বিএফএ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বেইজিং সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে আগ্রহী চীন। যদি ড. ইউনূস যেতে চান সেক্ষেত্রে ভাড়া করা উড়োজাহাজ পাঠাতে চায় চীন।
আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে ২৫ দেশের জোট বিএফএর সম্মেলনে যোগ দিতে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান বলেন, এই সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সফরে বাণিজ্য, ঋণসহ নানা বিষয় গুরুত্ব পেতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গতানুগতিক সম্পর্ক রাখবে চীন। আলোচনাও চলবে। তবে বড় ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার ক্ষেত্রে চীন নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় থাকতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মার্চে প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর করবেন কিনা-সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বেইজিং সফরে প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে আলোচনা হবে। তবে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কারণে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন কিংবা এতো কম সময়ে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপক্ষীয় সফরের প্রস্তুতি সম্ভব হবে কিনা-সেটা নিয়েও ঢাকা সন্দিহান।