টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মাগরিবের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক সঙ্গে জুমার নামাজ পড়বেন ইজতেমায় অংশ নেয়া এসব মুসল্লি।
ইজতেমা শুরুর আগেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শেষ পর্যন্ত চারজন মুসল্লি নিহত হওয়ার কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে দুই পর্বে তিন ধাপে হচ্ছে এবারের ইজতেমা। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপে ৪১ জেলা ও দ্বিতীয় ধাপে ২৩ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন এই ইজতেমায়।
প্রথম পর্বের দুই ধাপের আয়োজক শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নিজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, আজ বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
তিনি আরও জানান, ময়দানে এসেছেন ৪১টি জেলার মুসল্লি। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে প্রথমপর্ব।
এছাড়া, দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ২২টি জেলা এবং ঢাকার বাকি অংশ অংশগ্রহণ করবে।
২০১৮ সালে মাওলানা সাদপন্থি ও মাওলানা জোবায়ের পন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা। কিন্তু এবার প্রথম ২ পর্বে ইজতেমা করবে মাওলানা জোবায়েরপন্থিরা এবং শেষ পর্বে অংশ নেবেন সাদপন্থিরা। কিন্তু তাবলিগের সাধারণ সাথীরা চায় দুইপক্ষ মিলে একবারই হোক টঙ্গীর তুরাগ তীরের এই জমায়েত। যেখানে সব বিভেদ ভুলে এক কাতারে শামিল হবেন মুসলিম উম্মাহ।
এছাড়া বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে থেকে বিভিন্ন রুটে মোট সাত জোড়া (১৪টি) বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন পাঁচটি নন-স্টপ আন্ত নগর ছাড়া সব ট্রেন দুই মিনিট করে যাত্রা বিরতি করবে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে।