সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষকরা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার পাচ্ছেন না। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে সার বিক্রি করছেন। কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই বেশী দামে সার কিনছেন। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। মাঠ পর্যায়ে সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত মুল্য এক কেজি ডিএপি ২১ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা, একই ভাবে এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকা পরিবর্তে ২৪ টাকায়, টিএসপি ২৭ পরিবর্তে ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে, ইউরিয়ার বস্তা প্রতি ৭০-৮০ টাকা বেশীতে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার পাচলিয়া বাজারের এক খুচরা সার বিক্রেতা বলেন, আমরা ঠিক মতো সার পাচ্ছি না যার ফলে নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছু বেশী নেয়া হচ্ছে। শুধু আমি না এই বাজারে আমার মতো সব খুচরা ব্যবসায়ীরাই এই দামে সার বিক্রি করছেন।
ব্যবসায়ী দাম বেশীর বিষয়টি অকপটে স্বীকার করলেও পাশেই আরেক সারের দোকানে বসে থাকা পাচলিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা দাম বেশীর বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং করি এ বাজারে কোথাও সারের দাম বেশী নেয়া হচ্ছে না।
সেখানেই কথা হয় সার কিনতে আসা আলমাছ নামে এক কৃষকের সাথে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকেও সরকারি নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দাম বেশী নিয়েছে। আমরা ছোট পর্যায়ের কৃষক অল্প সার কিনি তাই দাম যাচাই-বাছাই করা হয় না।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, বিষয়টি দেখছি এবং ওই উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, সারের দাম বেশী নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।