রাজশাহীর হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকেরা। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে মোহনপুর উপজেলা সদর এলাকায় আলু ফেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয় চাষিরা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
চাষিরা জানায়, প্রতি কেজি আলু সংক্ষণের জন্য আগে ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। সম্প্রতি তা বৃদ্ধি করে ৮টা করে কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা। আলু সংক্ষণের ভাড়া কমানো না হলে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।
গত২৬ ডিসেম্বর ও ১২ জানুয়ারি তানোরের গোল্লাপাড়া গ্রামে কোল্ড স্টোরেজে ভাড়াবৃদ্ধির প্রতিবাদে কয়েক হাজার আলুচাষি বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে আলুচাষিরা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তারা বলেন, হিমাগারমালিকরা বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করলে তারা হিমাগারগুলো ঘেরাও কর্মসূচির হুমকি দেন। সেই সঙ্গে তারা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এ নিয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান সেদিন বলেন, ‘গত বছর বস্তা হিসেবে হিমাগারে আলু নেওয়া হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তায় ৩৪০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কেজি প্রতি সংরক্ষণে খরচ পড়ে প্রায় সাত টাকা। কিন্তু আলুর মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীরা বস্তায় ৭০-৮০ কেজি পর্যন্ত আলু ঢুকিয়ে দেন। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার আলুর কেজি দরে ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৩৭ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এই পরিমাণ জমি থেকে ১০ লাখ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে মোট ৩৬টি। এর অধিকাংশই জেলার পবা, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা ও দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত। এগুলোতে আলুর ধারণক্ষমতা ৯৫ লাখ বস্তা। ওজনের পরিমাপে যা পাঁচ লাখ টন।