শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জুলাই অভ্যুত্থানে ৫ সাংবাদিকসহ সব শহীদের স্মরণে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ৫ম সম্মেলন। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে আসা গণমাধ্যমকর্মীদের পদচারণায় থেকেই মুখর ছিল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট।
সম্মেলনে ঢাকাসহ সারা দেশের ৬ শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।
বিজেসি সম্মেলনে বক্তারা ‘সংস্কার-সুরক্ষা-স্বাধীনতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নতুন বাংলাদেশে নতুন ধারায় সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর পথচলার প্রত্যাশার কথা বলেন। এবারের সম্মেলনকে সদস্যদের চিন্তা লেনদেনের উৎসব হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
তারা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে অনেক গণমাধ্যমকর্মী অতি উৎসাহী হয়ে দলীয় সাংবাদিকতা করেছেন। তাই গণমাধ্যমে সংস্কার আনতে হলে আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত ভূমিকা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই পর্যালোচনা করতে হবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ও চাকরি নিরাপত্তার যেমন নিশ্চয়তা নেই, গণমাধ্যম তাদের মানও সার্বিকভাবে ধরে রাখতে পারেনি।
গণঅভ্যুত্থানে মাঠের গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা। গণমাধ্যমের স্বকীয়তা এবং সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিতে
গণমাধ্যমকর্মীদের নানা পরামর্শ দেন সম্মেলনের অতিথিরা।
সম্মেলনে তথ্যচিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি গণমাধ্যমের অধিকার নিয়ে কথা বলেন বিজেসি সদস্য ও নেতারা। সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান জুলাই আগস্টে শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই। স্বামী হত্যার বিচার চান জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাংবাদিক মেহেদী হাসানের স্ত্রী।
এ সময় সাংবাদিকদের বিকল্প পেশার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান।