১৯৯৪ সালে গঠিত হয় উল্লাপাড়া পৌরসভা। এটি একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। পৌরসভা এলাকায় বসতি সংখ্যা লাখের বেশী। দিনদিন বসতির সাথে বাড়ছে নানা ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। বেশী হচ্ছে ময়লা-আবর্জনার পরিমানও। পৌরসভাটির শ্রেনীগত উন্নয়ন হলেও পৌর এলাকায় পরিবেশগত দিক তেমন বদলায়নি। পৌরসভায় নামমাত্র একটি ডাম্পিং পয়েন্ট থাকলেও তা ব্যবহার না হচ্ছে না। এছাড়া এ পৌরসভায় নেই নির্দিষ্ট কসাইখানা। ফলে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বর্জ আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এবং উন্মুক্ত পরিবেশে গরু-ছাগল জবাই করা হচ্ছে। পঁচা ময়লা-আবর্জনা ও জবাইকৃত গরুর রক্ত মুত্রে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকীতে পড়েছে। দুর্গন্ধের কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষের নিত্য দিনের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার কড়িতলা, ওভার ব্রীজ, বিজ্ঞান কলেজ রোড, পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এসব স্থান থেকে ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসে পুরো শহরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও বাসিন্দারা। এছাড়া পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়ের পৌর বাসস্ট্যান্ডের পাশে নিয়মিত গরু জবাই করায় তীব্র দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদেরও চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
পৌরসভার বাসিন্দা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, পৌরসভায় নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট ও কসাইখানা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলা ও খোলা স্থানে গরু জবাই করার কারণে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। দুর্গন্ধে যাতায়াতেও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই প্রথম শ্রেনীর এ পৌরসভায় একটি কসাইখানা ও ডাম্পিং পয়েন্ট গড়ে তোলা খুবই জরুরী মনে করেন নাগরিকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওপৌর প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার একটি কসাইখানার জন্য জায়গা নির্ধারন করেছি। দ্রæত সময়ের মধ্যে পৌরসভায় একটি কসাইখানা হবে।
ময়লা-আবর্জনার ডাম্পিং পয়েন্ট ও দুর্গন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, পৌর শহরের শ্রীকোলায় একটি ডাম্পিং পয়েন্ট আছে। এর আগে পৌরসভার ময়লার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ায় ময়লা বহনে সমস্যা হচ্ছে, সমস্যা নিরসনে কিছু ভ্যান গাড়ি বানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য যেসব সমস্যা আছে সে বিষয়গুলো আমি মন্ত্রনালয়ে জানাবো।