চীনের উদীয়মান স্টার্টআপ ডিপসিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রসার বাড়াতে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপসিক এআই কোর্স চালু করা হয়েছে।
এই উদ্যোগটি চীনা সরকারের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে, যার উদ্দেশ্য হলো—দেশের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে আরও ত্বরান্বিত করা। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য নতুন বৃদ্ধির পথ উন্মোচনে সাহায্য করবে এই উদ্যোগ।
ডিপসিকের তৈরি ‘ডিপসিক-ভিথ্রি’ ও ‘ডিপসিক-আর ওয়ান’ মডেল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তিবিদ ও মার্কিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এইআইগুলো ওপেনএআই ও মেটার উন্নত মডেলের মতোই কার্যকরী। অনেকেই একে ‘স্পুটনিক মুহূর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন—যেমনটা হয়েছিল ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সময়।
এই সপ্তাহে ডিপসিক ভিত্তিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোর্স চালু করছে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন বিশ্ববিদ্যালয়। এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞানই নয়, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, নৈতিকতা এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ নিয়েও শিক্ষা দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, এটি ‘প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং নৈতিক মানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার পন্থা অন্বেষণ করবে।’
এছাড়া, পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে তাদের শিক্ষাক্রমে ডিপসিক কোর্স অন্তর্ভুক্ত করেছে। সাংহাইয়ের জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয় তাদের এআই গবেষণার জন্য ডিপসিকের উন্নত টুল ব্যবহার করছে। রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদান, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে ডিপসিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে।
অন্যদিকে, চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে ‘শক্তিশালী শিক্ষিত জাতি’ গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর লক্ষ্য হলো এমন একটি উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা, যা বিশ্বমানের হবে।