শীত আসতেই সবার জীবনধারণ বদলে যায়। এ সময় গায়ের পোশাক থেকে শুরু করে খাদ্য তালিকা, সবই নির্ভর করে ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। শরীর গরম রাখার জন্য। আবার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর উপাদান রাখা হয়।
অনেকেই আবার শরীর গরম রাখার জন্য চা পান করেন। যারা আগে থেকেই চা পান করেন, তারা এই সময় চায়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। আবার যারা না-ও পান করেন, তারাও শীতে চা পান করেন। তবে শীতে কত কাপ চা পান করতে হবে, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
চা পানে উপকার: চায়ের মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েডস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন জরুরি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীর ভালো রাখতে উপকারী উপাদান। ফলে নিয়মিত চা পানে কোলেস্টেরল হ্রাস পায়। আবার ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে।
চায়ের ধরণ: চা পানে কারও পছন্দ রং চা, আবার কারও পছন্দ দুধ চা। তবে যাদের দুধ চা পছন্দ, তারা উপকারের আশায় এ চা পানে কোনো ফল পাবেন না। আর অধিক পরিমাণে দুধ চা পানে আরও ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এতে করে গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুধে বিদ্যমান ফ্যাট ওজন বাড়াতেও সহায়তা করে। উপকারের জন্য চা পান করলে মনে রাখতে হবে, চায়ে চিনি যোগ করা যাবে না। কেননা, চিনি এম্পটি ক্যালোরিজ। এর কোনো পুষ্টি উপাদান নেই।
কী পরিমাণ চা পান করা উচিত: শীতে অনেকেই বেশি বেশি চা পান করেন, যা ঠিক নয়। এ সময় তিন থেকে চার কাপ পরিমাণ চা পান করা যেতে পরে। এতে শরীরও গরম থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী চা পানে শরীরে একাধিক প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রবেশ করবে। এতে বিভন্ন ধরনের প্রদাহ কমবে।
তবে উপকারের আশায় আবার বেশি পরিমাণ চা পান করা যাবে না। কেননা, এতে ক্যাফিন রয়েছে। যা বেশি পরিমাণ শরীরে প্রবেশ করলে ঘুম না হওয়া, রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধির মতো সমস্যা হতে পারে।