কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ের পথে লিবারেল পার্টি। এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন মার্ক কার্নি।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সর্বশেষ এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি এবং বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ভাগ্যের একটি অত্যাশ্চর্য পরিবর্তনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় কানাডার এই নির্বাচন।
লিবারেলরা কনজারভেটিভদের তুলনায় সংসদের ৩৪৩ আসনের মধ্যে অধিকাংশতেই জয়ের অনুমান করছে। যদিও তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে অন্য দলের প্রয়োজন ছাড়ায় তাদের আইন পাস করা সহজ হবে।
কানাডার পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজন ১৭২টি আসন। তবে ভোট গণনা এখনো চলমান থাকায় স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, লিবারেলরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে পারবে কিনা।
দেশটির এবারের নির্বাচনী প্রচারণা ছিল উত্তপ্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে ৫১তম রাজ্য হিসেবে যুক্ত করার হুমকি দেশজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এরকম প্রেক্ষাপটে কানাডার সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন কার্নি। মার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা আমাদের ঘরের কর্তা। কোনো শক্তিকে আমাদের দুর্বল করতে দেব না।
সর্বশেষ ভোট গণনার তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৩ আসনের মধ্যে লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৬২ আসন এবং কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১৪৯ আসন।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কানাডার অর্থনীতিতে আক্রমণ করা এবং এর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার আগে উদারপন্থিরা একটি বিপর্যয়কর পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। তবে দাবার গুটি পাল্টে দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
তিনি কানাডার তৈরি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার কথা বলেছেন, যা দেশটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে কানাডিয়ানদের। একই সঙ্গে লিবারেলদের চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় জেতার পথ সহজ করেছেন।