ভারতের মেয়েরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বকাপ জিতে দেশের গৌরবকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। রবিবার রাতে থেকে গোটা দেশ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। আর এই উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যেই ভারতীয় মহিলা দলের সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানাকে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রেমিক, গায়ক ও মিউজিক কম্পোজার পলাশ মুচ্ছল।
রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছেন হরমিনপ্রীত কৌর-স্মৃতি মান্ধানারা। এমনকী ট্রফি জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন জেমাইমা, মান্ধানারা। দেখে মনে হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিশ্বজয়ের ঘোর এখনও কাটেনি। এদিকে, ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে গর্বিত প্রেমিক পলাশ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন। সেটি শেয়ার করেছেন তাঁর ইন্সটাগ্রামে। আর ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে পলাশ মুচ্ছল লিখেছেন, 'আমি কী এখনও স্বপ্ন দেখছি?'
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে স্মৃতিরা জিততেই পলাশ ভরিয়ে দেন ‘ওম্যান ইন ব্লু’কে শুভেচ্ছায়। তিনি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমের উচ্ছ্বাসের ছবি পোস্ট করেন। যে ছবির ডান দিকে ছিলেন স্মৃতি। পলাশ লেখেন,'This part of my life right here is called... happiness'। বার্তায় পলাশ প্রকাশ করেছিলেন তাঁর আনন্দ, উচ্ছ্বাস।
গত রবিবার (২ নভেম্বর) রাতে নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল।
ঘণ্টা পাঁচেক আগে ট্রফি হাতে তোলা আরেকটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন পলাশ, সামনে স্মৃতি মান্ধানাকেও দেখা গেছে। পলাশ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমরা ভারতীয়রা সবচেয়ে এগিয়ে আছি।’ ছবিতে পলাশের হাতে ‘এসএমএইটিন’ লেখা ট্যাটুও দেখা গেছে। ‘১৮’ স্মৃতি মান্ধানার জার্সি নম্বর।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মৃতি ও পলাশের বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ২০ নভেম্বর ২০২৫, মহারাষ্ট্রের সাংলিতে। জায়গাটি স্মৃতির কাছে বিশেষ আবেগের, কারণ এখানেই তাঁর বড় হওয়া, এখানেই ক্রিকেট-জীবনের সূচনা। যদিও জন্ম মুম্বইয়ে, কিন্তু তাঁর শৈশব, স্কুলজীবন ও ব্যাট হাতে প্রথম দিনগুলো কাটে সাংলির মাধবনগরে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানও হবে এখানকারই এক ঘনিষ্ঠ পরিবেশে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা আয়োজন করছেন ‘সঙ্গীত ও ক্রিকেটের এক নিখুঁত মেলবন্ধন।'
২০২৪ সালে ইনস্টাগ্রামে পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে স্মৃতি ও পলাশের সম্পর্ক। পলাশ মুচ্ছল একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও গীতিকার। তার জনপ্রিয় গানগুলিরর মধ্যে রয়েছে ‘তু যা কহে’, ‘পার্টি তো বন্তি হ্যায়’, ‘তেরা হিরো ইধার হ্যায়’। পাশাপাশি ‘খুশ নুমা’, ‘ও খুদা’, ‘মুসাফির’-এর মতো গান শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়িয়েছে।