জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সকালে আনিসুলসহ অন্যদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আনিসুল, শাজাহানদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহম্মেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদ ও তার স্ত্রী ফারজানা রুপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদ ইসলাম, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, আওয়ামী লীগ সদস্য রাতুল ও লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিউল্লাহ ও শেখ মোহাম্মদ আলী আড্ডু।
আদালত–সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, আজ সকালে তাদের আদালতে তোলা হবে। পরে তাদের যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, মিরপুর ও খিলগাঁও থানার বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন আনিসুল হক। এরপর বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।