ফিল হিউজের অকাল প্রয়াণের পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আবারও নেমে এলো শোকের ছায়া। মেলবোর্নে নেট অনুশীলনের সময় ঘাড়ে বল লাগে উঠতি এক ক্রিকেটারের। হাসপাতালে নিয়েও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। ফলে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই অকালে নিভে গেল এক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ প্রতিভার জীবন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে মোনাশ চিলড্রে’স হাসপাতালে মারা যান উদীয়মান ক্রিকেটার বেন অস্টিন। এ হাসপাতালেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মেলবোর্নের এ ক্লাব ক্রিকেটার। তার মৃত্যুর খবর স্তব্ধ করে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট অঙ্গনকে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার, মেলবোর্নে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে স্বয়ংক্রিয় বোলিং মেশিনের বিপক্ষে অনুশীলন করছিলেন বেন। মাথায় হেলমেট থাকলেও এক বল এসে আঘাত করে তার মাথা ও ঘাড়ের সংযোগস্থলে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় গুরুতর অবস্থায়, কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবারই নিভে যায় এই কিশোর ক্রিকেটারের প্রাণ।
ফার্নট্রি গালি ক্রিকেট ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'বেনের মৃত্যুতে আমরা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছি। তার এই অকাল প্রয়াণ আমাদের সমগ্র ক্রিকেট সম্প্রদায়ের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।'
ক্লাবটির বর্ণনায়, বেন ছিলেন এক উদীয়মান বোলার ও ব্যাটার, 'একজন তারকা ক্রিকেটার, প্রেরণাদায়ক নেতা এবং অসাধারণ তরুণ।'
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ব্যাটার ফিলিপ হিউজ একইভাবে ঘাড়ে বলের আঘাতে মারা যান। হিউজের মৃত্যুর পর থেকেই ক্রিকেটে হেলমেট ডিজাইন, কনকাশন প্রোটোকল এবং খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছিল।