কুষ্টিয়া থেকে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে । আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর সোনার বাংলা সড়ক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আটকের তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
জানা যায়, আজ ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নব্বইয়ের দশকে ঢাকার অপরাধজগতের আলোচিত নাম ছিল সুব্রত বাইন। আধিপত্য বিস্তার করে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিতে তার নাম আসা ছিল তখনকার নিয়মিত ঘটনা। এসব কাজ করতে গিয়ে অসংখ্য খুন-জখমের ঘটনাও ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, মূলত নব্বইয়ের দশকে মগবাজারের বিশাল সেন্টার ঘিরেই উত্থান হয় সুব্রত বাইনের। তিনি এই বিপণিবিতানের কাছে চাংপাই নামে একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িয়ে যান। পরে বিশাল সেন্টারই হয়ে ওঠে তার কর্মকাণ্ড পরিচালনার কেন্দ্র। এ জন্য অনেকে তাকে ‘বিশালের সুব্রত’ নামেও চেনেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে আটকের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’