নির্বাচন এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখনো কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর মধ্যে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সও ভালো নয়। মেয়েরাও বিশ্বকাপে গিয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। সব মিলিয়ে যখন টালমাটাল অবস্থায় দেশের ক্রিকেট, তখন নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের ফাটানো বোমায় দেশে খেলাটির সর্বোচ্চ প্রশাসনও কেঁপে উঠেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় লতা মণ্ডলকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন আরেক নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে স্টাম্পিং বা হিট উইকেট হওয়ার বিনিময়ে লতাকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখানো হয়। সে বিষয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখায় ‘রিপোর্ট’ও করা হয়। তবে যার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন জাহানারা আলম, সেই মঞ্জুরুল ইসলামের মধ্যে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব ধামাচাপা দেওয়ার তৎপরতাও লক্ষ করেছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মঞ্জুরুলের কারণে ঘটনাটি আইসিসিকে জানানোর বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছিল বলে কয়েক দিন আগে কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন জাহানারা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পোর্ট এলিজাবেথে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ সামনে রেখে লতার প্রস্তাব পাওয়ার পরবর্তী ঘটনাক্রম তুলে ধরে জাহানারা বলছিলেন, ‘লতাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় চারজনের নাম উল্লেখ করেন সোহেলী আপু। লতা ভয়েস রেকর্ডগুলো রেখে দেয়। মঞ্জু ভাই লতাকে বলে, এগুলো আইসিসিকে বলার দরকার নেই।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আইসিসিকে জানানোর বিষয়ে রহস্যময় আচরণসহ আরো অনেক অভিযোগেই এখন অভিযুক্ত মঞ্জুরুল।