অস্বাভাবিক উষ্ণতায় শক্তি সঞ্চয় করে ‘ক্যাটাগরি-৫’ তীব্রতার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে মেলিসা জ্যামাইকায়। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় এটি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। সূত্র: রয়টার্স
দেশটির প্রধানমন্ত্রী একে “জাতীয় বিপর্যয়” আখ্যা দিয়েছেন। মেলিসার সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি, যা আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা অ্যাকুওয়েদার। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিওএমও) ঝড়বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যান-ক্লেয়ার ফন্টান বলেন, ‘জ্যামাইকার জন্য এটি শতাব্দীর ঝড়। এতো শক্তিশালী আঘাত দেশটি আগে কখনও দেখেনি।’
ঝড়ের কারণে জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমের ওয়েস্টমোরল্যান্ড ও সেন্ট এলিজাবেথ অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেন্ট এলিজাবেথের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
জ্যামাইকায় আগে কখনও ক্যাটাগরি ৪ বা ৫ এর ঝড়ের সরাসরি আঘাত হানেনি। ১৯৮৮ সালে গিলবার্ট ক্যাটাগরি ৩ এর ঝড়ের কারণে স্থলভাগে আঘাত হানে। এরপর মেলিসা জ্যামাইকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, পুনর্গঠনে এক দশকও লেগে যেতে পারে।
এই দূর্যোগে জ্যামাইকার প্রায় ৭৭ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। জনপ্রিয় পর্যটন নগরী মন্টেগো বে-তে পানির উচ্চতা কোমর সমান পর্যন্ত উঠে যায়। আবহাওয়া সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মেলিসা প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতিবেশী হাইতিতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কিউবায় প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তবে সেখানে প্রাণহানি ঘটেনি।