সকলে মিলে দেশ গড়ার সময় এসেছে, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারেক রহমান। এরপর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি গেট থেকে বুলেটপ্রুফ বাসে করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যান তারেক রহমান। বাসটির গায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় আকারের প্রতিকৃতি রয়েছে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দরগামী ইনকামিং ও আউটগোয়িং সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখর পুরো বিমানবন্দর সড়ক।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট নং বিজি-২০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ আগে তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আবেগঘন বার্তায় লেখেন, দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!
বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। একই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টায় লন্ডনের নিজ বাসা ত্যাগ করেন তারেক রহমান। তিনি স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রাত সোয়া ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান।