লবণ খাদ্যের একটি অপরিহার্য উপাদান। খাবারে লবণের পরিমাণ কম বা বেশি হলে নষ্ট হয় খাবারের স্বাদ। তবে অনেকেই ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেতে পছন্দ করেন, অনেকে আবার তরকারি রান্নার সময়ও প্রয়োজনের থেকে একটু বেশি লবণ ব্যবহার করেন। যেটি একদম ঠিক নয়।
একটা সময় হার্টের সমস্যাকে শুধু বয়স্কদের অসুখ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, বর্তমানে কম বয়সেও অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, লবণে থাকা সোডিয়াম হার্টের জন্য বিষের সমান। তবে জীবন থেকে একবারে লবণ বাদ দেওয়া সম্ভব নয় বলে এটি খেতে হবে মেপে, যাতে হার্টের ক্ষতি না হয়।
হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে দৈনিক কতটুকু লবণ খাওয়া নিরাপদ—এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসকরা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ দিনে ২২০০ এমজি পর্যন্ত সোডিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। এই পরিমাণ সোডিয়াম মোটামুটি ৪ থেকে ৫ গ্রাম লবণে থাকে। হার্ট সুস্থ রাখতে চাইলে দিনে এর থেকে বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।তবে যারা ইতিমধ্যেই কোনো ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত, তারা দিনে সর্বোচ্চ ১৫০০ এমজি সোডিয়াম পর্যন্ত খেতে পারবেন। লবণের হিসেবে এই পরিমাণটি হলো ২ থেকে ৩ গ্রামের মতো।
সাধারণ মানুষের পক্ষে ৩-৪ গ্রাম লবণ মাপা কঠিন। এই সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকরা একটি সহজ টেকনিকের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, রান্নায় এক চিমটির বেশি লবণ ব্যবহার করা উচিত নয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কাঁচা লবণ খাওয়া সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা। এই সহজ নিয়ম মানলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব হবে।
চিকিৎসকরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, আমাদের পরিচিত কিছু খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণ রয়েছে। আর সেগুলো হলো, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, চিপস, সস ইত্যাদি। তাই এগুলো ছাড়তে হবে। তার পরিবর্তে শাক-সবজি এবং ফল বেশি করে খেতে বললেন চিকিৎসক। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
এ ছাড়া হার্টের স্বাস্থ্য ফেরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। দিনে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ হলো মাস্ট।