পাবিপ্রবি শিক্ষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি সংগৃহীত।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ‘রিভিউ হিট প্রজেক্ট, পাষ্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসান।

রিসোর্স পার্সন হিসেবে কর্মশালাটি পরিচালনা করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ও ইনষ্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. সালাউদ্দিন ।

 

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে পরিবর্তনের  বাংলাদেশ। এতে শিক্ষক ও শিক্ষাক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জ বাড়বে। শিক্ষকরা দেশকে গড়ে তুলবেন, তাদের জার্নিটা হবে কঠিন। গত ৫৩ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কোন সিষ্টেম দাঁড়ায় নাই। শিক্ষকদেরকে পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ  করতে হবে, সে  লক্ষে এখনই  পরিকল্পনা সাজাতে হবে। যুগোপযোগি শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতিকে গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা করতে হবে। দিন শেষে জাতিকে আউটপুট দিতে হবে। যাতে জাতি উপকৃত হয়। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় আমরা চলি।  জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ।

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য হলো গবেষণা। দেশের মূল উন্নতি হয় শিক্ষার মাধ্যমে। সেজন্য শিক্ষকদের বলি- পড়, পড় এবং পড়, এরপর লেখ। যত বেশি পড়বেন তত বেশি লিখতে পারবেন, তত বেশি পড়াতে পারবেন। ততবেশি গবেষণা করতে পারবেন। উপাচার্য আরও বলেন, ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য একটি সুন্দর সিষ্টেম গড়ে উঠবে বলে আমরা  আশাবাদী।

বিশেষ অতিথি উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষকরা গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের সংস্কৃতি হলো গবেষণা খাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত টাকার অংক খুবই কম। নানা সীমাবদ্ধতার পরও আমরা  গবেষণা সেল করে করেছি। গবেষণায় আমরা আগাতে চাই, ইতিহাস তৈরি করতে চাই। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা এখান থেকেই হবে। গবেষণার সংস্কৃতি আমরা ছড়িয়ে দেব। 

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, গবেষণার জন্য বাংলাদেশ টাকা খরচ করতে চায় না। তারপরও অনেক কাজ হচ্ছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রথমবারের মতো হিট প্রজেক্টের জন্য মনোনীত হওয়া গর্বের। ভবিষ্যতে আমাদের গবেষকদের সংখ্যা বাড়বে। মানসম্মত রিসার্স প্রজেক্ট প্রোপোজাল তৈরি করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সালাউদ্দিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে শিক্ষা সেক্টরে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক।  এই ক্ষেত্রের বিনিয়োগে আউটপুট বেশি, জিডিপির হারও বেশি। তারপরও আমাদের দেশে গবেষণায় বরাদ্দ খুবই কম। এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। গবেষণায় যতবেশি বিনিয়োগ হবে দেশ তত উন্নত হবে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আই কিউ এসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসফাকুর রহমান।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে বিকেলে জামায়াতের বিক্ষোভ

মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চ্যাটার্জি

ভিসা নবায়ন করছে না ফ্রান্স, বাধ্য হয়ে দেশে ফিরছেন অনেক ইসরায়েলি

মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান

পাবিপ্রবি শিক্ষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিজয়ের বেশে ঢাকায় ফিরেছে অনূর্ধ্ব ২০ নারী দল

গাইবান্ধায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৫

ডে কেয়ার সুবিধাসহ নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক

ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু

আল জাজিরার সাংবাদিককে টার্গেট করে হত্যার কথা স্বীকার করলো ইস/রায়েল

১০

লিটারে ১৯ টাকা কমল পাম অয়েলের দাম

১১

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

১২