কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ফের বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড, গ্রেনেডের ডেটোনেটর, রাইফেল ও পিস্তলের গুলি উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
শনিবার (৩১ মে দুপুরে) কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার ভোর ৫টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া নেচার পার্ক এলাকায় কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অধীনে টেকনাফ স্টেশন এবং টেকনাফ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেচার পার্কের ভেতরে একটি পুকুরে ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশি চালিয়ে এসব গ্রেনেড-গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড জানায়, ওই পুকুরে একটি বস্তায় অভিনব কায়দায় ডুবন্ত অবস্থায় এগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। খবর পেয়ে অভিযানে নামে কোস্টগার্ড। অভিযানের এক পর্যায়ে বস্তাটি উদ্ধার করা হয়। পরে বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেডের ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে ওই পুকুর পাড়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ২৭ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ২ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযান টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। অবৈধ বিষ্ফোরক ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধে কোস্টগার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ২০ মে টেকনাফে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি দেশিয় পিস্তল, একটি দুই নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক ও ৯৭৫ রাউন্ড জি-৩ রাইফেলের তাজা গুলি উদ্ধারের কথা জানায় কোস্টগার্ড। মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গোলার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে জানতে পেরে ওই অভিযান পরিচালিত হয় বলে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।