ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুবাস নিয়ে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে আইরিশদের টেল এন্ডার বেশ ভুগিয়েছে লাল-সবুজদের। শেষের পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি ম্যাচ টেনে নিয়েছে দ্বিতীয় সেশনে। অবশ্য রানের ব্যবধানই কেবল কমাতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। শেষপর্যন্ত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথমটিতে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে জিতে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এটি টাইগারদের চতুর্থ ইনিংস ব্যবধানে জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৯২.২ ওভারে ২৮৬ রানে থামে। জবাবে ১৪১ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৩০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ৭০.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারী দল।
তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কাজটা হয়ে গিয়েছিল আরও সহজ। আজ কতক্ষণ লাগবে জিততে? এই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে শেষ পর্যন্ত প্রায় দেড় সেশন লেগে গেছে বাংলাদেশের।
আজ দিনের তৃতীয় বলেই তাইজুল ইসলামের বলে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ছেড়ে আঘাত পান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুলও। তাতে জয়ের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষাটা বাড়িয়ে দেন ম্যাকব্রাইন। আয়ারল্যান্ডকে এক পাশ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন তিনি।
ম্যাকব্রাইনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, আয়ারল্যান্ড কি ইনিংস হারটাও এড়িয়ে ফেলবে? ৫২ রান করা ম্যাকব্রাইনকে হাসান মুরাদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সেই অনিশ্চয়তা দূর করেন নাহিদ রানা। আয়ারল্যান্ডের অলআউটের অপেক্ষাটা আরেকটু বাড়ে ম্যাকার্থির সঙ্গে নেইলের ৫৪ রানের জুটিতে।
সেটিরও অবসান হয়েছে তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদের হাত ধরে। বাংলাদেশ দলের এই দুই বাঁহাতি স্পিনার মিলে দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তাতে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংস ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।