চলতি বছরের মাঝামাঝি তথা জুলাই-আগস্ট মাসে নির্বাচন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনার বিষয় তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিলম্বিত করার কারণ নেই। এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেহেতু নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হয়েছে এবং স্টেবেলিটি এসেছে। তাই নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততোই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হবে। এ কারণে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন করা যেতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি আমরা।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্ন উঠে না। ২০২৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।’
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যমতে আসার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘এই আইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে প্রধান করে প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ও ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।’
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্দ্ধগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি অন্যদিকে ভ্যাট ও অন্যান্য করের হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়ে সভায় একটি বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
‘জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি অবিলম্বে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে’, বলেন মির্জা ফখরুল।