অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে কার্যক্রম স্থগিত থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিমান ও নৌ খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সময়মতোই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক।
মুহাম্মদ ইউনূস জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এবং পরে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল (স্থগিত) করায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশে একটি ‘নতুন সূচনা’ করেছে।
বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী চ্যাপম্যান প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার বৈধ চ্যানেলে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘শিবিরের যুবকেরা আশাহীন হয়ে বড় হচ্ছে—রাগান্বিত এবং হতাশ। তাদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।’
ঢাকা–লন্ডন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়। ইউনূস জানান, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক গবেষণার জন্য বাংলাদেশ একটি ব্রিটিশ গবেষণা জাহাজ কিনছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী জানান, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি কো-অর্ডিনেটর লামিয়া মোর্শেদ এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।