হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে শীত জেঁকে বসেছে । গত ৯ দিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়। রাতে তাপমাত্রা নিম্নস্তরে চলে গেলেও দিনে গরম অনুভূত হয়। দিনে-রাতে দুই রকম আবহাওয়ার কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বর-সর্দিসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা।
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, সকাল সকাল ঝকঝকে রোদ ছড়িয়েছে প্রকৃতিতে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভূত হলেও রোদ থাকায় শীতের প্রভাব পড়ছে না কোনো কাজকর্মে। সকাল সকাল কাজে বেড়িয়েছেন চা ও পাথর শ্রমিক, দিনমজুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, দিনের বেলায় কিছুটা রোদ ওঠে তাই দিনে শীত কিছুটা কম মনে হয়। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় ঠান্ডা বাতাস। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে কনকনে শীতের প্রকোপ। তীব্র শীতের কারণে মানুষ ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা শীতে বেশী কষ্ট পাচ্ছে । তারা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত বেশী হচ্ছে।
আবু সালেহ নামে এক বৃদ্ধ বলেন, সন্ধার পর থেকে শীত বাড়তে থাকে। আমাদের বয়সের মানুষের শীত সহ্য করা খুবই কষ্ট হয়ে পড়েছে।
জেলার সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।