চলতি মাসে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ, এরপর ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে লাল-সবুজের দল।
গত বছরের ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সেবার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও দারুণ খেলেছিলেন বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডার। এবার তিনি আরও ভালো কিছু করতে চান ভারতের বিপক্ষে।
রবি আজিয়াটা পিএলসি আজ এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে হামজা চৌধুরীকে এক বছরের জন্য তাদের নতুন শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করেছে। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির খেলোয়াড়। বাংলাদেশের হয়ে খেলা প্রথম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারও হামজা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রবির করপোরেট কার্যালয়ে আজ সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জিয়াদ সাতারা, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ, চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম এবং নতুন শুভেচ্ছাদূত হামজা চৌধুরী।
মঞ্চ সাজানো হয় হামজা চৌধুরীর ডিজিটাল ছবি দিয়ে। তাতে লেখা ‘সুপার ফুটবলার, রবি সুপারনেটে’। হামজা অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসেন সকাল সোয়া ১০টায়।
হামজা চৌধুরী রবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘রবির সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করি, বাংলাদেশের যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে পারব এবং দেশের ফুটবলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আরও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারব।’
সেখানেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে হামজা বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ আমরা ভারতের বিপক্ষে জিতব।’ আর বাংলাদেশকে নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের হয়ে কয়েক মাস হলো খেলছি। এখনো সত্যি বলতে অবাস্তব মনে হয় এই ভ্রমণটা। আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হয়ে গর্ব করতে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার মা–বাবার জন্য।’
নিজের বাবা-মায়ের পাশাপাশি পুরো জাতিকে গর্বিত করার কথা জানিয়ে হামজা বলেন, ‘আমার বাবা এই দেশেই জন্মেছেন ও বড় হয়েছেন, তাই তাঁদের মুখে সেই হাসিটা দেখতে পাওয়াটাই আমার আসল প্রাপ্তি। প্রত্যেক সন্তানই চায় তাঁর বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি।’
বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রসঙ্গে হামজা বলেন, ‘আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি। আমি চেষ্টা করি সেই ভালোবাসা ও সমর্থনটা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে।’ সন্তানেরা সবসময় বাংলাদেশে ফিরতে চায় জানিয়ে হামজা আরও বলেন, ‘যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার সন্তানেরা বলে, ওরা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। ইনশা আল্লাহ, ওরা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’