সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডাকাত আতঙ্ক। রাতভর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হলেও কেউ ধরা পড়ছে না। চোর ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে উপজেলাবাসীর। তবে থানা পুলিশ মানুষকে সচেতন থাকার আহŸান ও তারা বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, দুইদিন আগে উপজেলার পুর্ণিমাগাতি ইউনিয়নের গয়হাট্টা গ্রামে নুর ইসলামের বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা, দহপাড়া গ্রামের সালাম, মিজানের গরু চুরি ও গয়হাট্টা গ্রামের মোকছেদ হাজির বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় ডাকাতরা। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ বিষয়টা বুঝতে পেরে নিরাপত্তা জোরদার করে। এরপর থেকে উপজেলা জুড়ে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরইজের ধরে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উল্লাপাড়া পৌর শহরের একটি মসজিদের মাইক থেকে ‘এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে আপনারা সবাই সতর্ক থাকুন’ এ ঘোষনার পর একের পর এক অন্যান্য মসজিদের মাইক থেকেও এমন ঘোষনা শুরু হতে থাকে। মসজিদের মাইকে ঘোষনার পর সাধারন মানুষের মধ্যে মূহুর্তের মধ্যেই ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাইকিংয়ের পাশাপাশি গ্রামের গ্রামে পাহারা বসান গ্রাম প্রধানরা। গ্রামে ঢোকার মুল প্রবেশ পথে গাছের গুড়ি ফেলে রাখাসহ নিজেদের সম্পত্তি রক্ষায় তৎপরতা শুরু করেন। এদিকে হঠাৎ ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশও নড়েচড়ে বসেন। উল্লাপাড়া মডেল থানা থেকে জুরুরী ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ণ এলাকাগুলোতে টহল কার্যক্রম শুরু করেন।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গ্রাম প্রধান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবত চোর ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। গ্রামে অপরিচিত মানুষের আনাগোনা বেশী দেখা যাচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে নিজ উদ্যোগে গ্রামে পাহারা বসানো হয়েছে এতে মানুষের আতঙ্ক কিছুটা কমেছে। কাল রাতে আমরা জানতে পারি উল্লাপাড়ায় ডাকাত ঢুকেছে একারণেই মাইকিংয়ের মাধম্যে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।
এবিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, শীতের সময় চুরি একটু বেশী হয় একারণে মানুষকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে তৎপর রয়েছি। তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করেই অতি উৎসাহী কিছু মানুষ ফেসবুকে গুজব ছড়িয়েছে। গুজবে কান না দিয়ে সচেতনতার আহব্বান জানান তিনি।