দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ আছে, কিন্তু তাতে সহনীয় হয়নি বাজার। বাড়ছে মাঝারি ও সরু চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪-৬ টাকা পর্যন্ত। চালের বাজারের চাহিদা এবং যোগানের সূত্র হয়েছে অকার্যকর কারণ, আমন মৌসুমে বাজারে বেড়েছে যোগান। কিন্তু এতেও মিলছে না স্বস্তি। কারসাজিতে অভিযোগের তীর মিল মালিক এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দিকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বেশি দামে ধান কিনে মজুদ করা হয়েছে, তারপর সেই ধান থেকে চাল করে নেয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো দাম।
ক্রেতার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল। অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে দামেও তৈরী হয়েছে অস্বস্তি। যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দাম। নতুন করে চালের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তার পকেটে টান পড়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে যেন হিমশিম অবস্থা। অনেকেই চাহিদায় দিয়েছেন লাগাম। মাঝারি ও সরু চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪-৬ টাকা পর্যন্ত। ৫০ কেজি বস্তাপ্রতি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দাম। টিসিবির হিসাব বলছে, বছরের ব্যবধানে সরু ও মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে আট ভাগের বেশি।
সরবরাহ বাড়াতে চাল আমদানিতে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় দিচ্ছে সরকার। থাইল্যান্ড এবং ভারত থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ওইসব বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছেনা কেউ।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাঝারি আকারের বিআর-২৮ ও পাইজাম জাতের চালের। এ ধরনের চালের ভোক্তা সাধারণত মধ্যবিত্ত। গতকাল শনিবার ঢাকার বাজারে খুচরা পর্যায়ে এ দুই জাতের চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬৪ টাকায়। এ ছাড়া মোটা চালের (গুটি স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি ৫২-৫৫ টাকা ও চিকন চাল (মিনিকেট) বিক্রি হয়েছে কেজি ৭০-৮০ টাকা দরে। মাস তিনেক আগে মোটা চালের কেজি ৪৮-৫০, মাঝারি চাল ৫৪-৫৮ এবং চিকন চাল ৬৮-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে সরু চালের দর প্রায় ৪ শতাংশ, মাঝারি চালের ৮ ও মোটা চালের দর ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির এই হার আরও বেশি। এ সময় সব ধরনের চালের দর বেড়েছে গড়ে ১২ শতাংশ।