১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠা নিউজিল্যান্ড শিরোপার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে দুর্বার ভারতকে।আগামী রোববার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কিউইদের ৪৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল রোহিত শর্মার দল।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক স্যান্টনার। লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়া ম্যাচসেরা রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ দিকে ঝড় তোলেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিফস। এ কজনের ব্যাটে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান তোলে কিউইরা। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে মিলারের ঝড়ো সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের হাফ সেঞ্চুরির পরও ৯ উইকেটে ৩১২ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
এর আগে মঙ্গলবার প্রথম সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে ভারত।
১০১ বলে ১০৮ রান (১৩ চার ও ১ ছক্কায়) করেন রাবিন্দ্রা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। উইলিয়ামসন খেলেন ৯৪ বলে ১০২ রানের (১০ চার ও ২ ছক্কা) ইনিংস। ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৫তম সেঞ্চুরি এটি।
এর বাইরে ৪৯ রান করে নেন ড্যারিল মিচেল (৩৭ বলে) ও গ্লেন ফিলিপস (২৭ বলে)। ১৬ রানের সংযুক্তি ছিল মাইকেল ব্রাসওয়েলের ব্যাট থেকে। এতেই ৩৬২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রায়ান রিকেলটনকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে দলীয় ২০ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। তবে আরেক ওপেনার টেম্বা বাভুমা পান ফিফটির দেখা। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৭১ বলে করেন ৫৬ রান।
রানের দেখা পান তিনে নামা রাসি ফন ডার ডাসেনও। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে কাটা পড়েন ৬৯ রানে। ৬৬ বলের তার ইনিংসটি ছিল বেশ কার্যকরী। তবে এইডেন মার্করাম-হেনরিখ ক্লাসেনরা দ্রুত সাজঘরে ফিরলে পথ হারায় দল।
শেষদিকে ডেভিড মিলার একাই চেষ্টা করেন। পান দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। কিন্তু ঝড় তুলেও যেন তা বিফলে যায়। কিউইদের রানের পাহাড় টপকানো সম্ভব হয়নি। তার ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস কেবলই হারের ব্যবধান কমায়।