ন্যাশনাল ব্যাংকের টাকা যারা লুট করেছে ইতোমধ্যে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের রাজধানীর গুলশানের মতো জায়গায় হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিলে এসব সম্পদ বিক্রি করে অর্থ আদায় করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচালক জাকারিয়া তাহের, স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, ড. মেলিতা মেহজাবিন, মো. জুলকার নায়েন উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের অনিয়ম ছিল বহুমাত্রিক ও বহুপাক্ষিক। নিয়ম বা অনিয়ম যেভাবেই ঋণ দেওয়া হোক, অনাদায়ী ঋণ আদায় আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে কোনো অনিয়ম হয়নি, আগামীতেও হবে না। অনিয়মের টাকা উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। ৫টি টিম কাজ করছে, দেশের বাইরে থেকেও অডিট কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় আমরা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংক প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে এবং চলতি বছরের মধ্যে আরও ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বড় ধরনের আয় আসতো বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে। অনিয়মের কারণে এই আয়ে ভাটা পড়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এটিও ইতিবাচক ধরার ফিরবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়। এর মাধ্যমে এস আলমের হাত থেকে দখলমুক্ত করা হয় ন্যাশনাল ব্যাংককে।